প্রেমের সফলতা

একটা সফল প্রমের দিন

 

আমেরিকার প্রবাসী টম ২০১৯ সালে বাংলাদেশে আসেন ঘুরতে। বন্ধুর আমন্ত্রণে এক অনুষ্ঠানে যান আর সেখানে সুন্দরী মিষ্টিকে দেখেই পরিচিত হবার লোভ সামলাতে পারেননি টম। পরিচয়ের সূত্র ধরেই মাঝে মধ্যে হায়-হ্যালো এরপর ফেসবুক ফ্রেন্ড তারপর নিয়মিত দুজনের ফোনে কথা হতো। 



একপর্যায়ে মিষ্টিকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন টম। সে সময় মিষ্টি তেমন পা"ত্তা দেয়নি।


 একপর্যায়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। কিন্তু মিষ্টির পরিবার বিয়েতে রাজি ছিল না। পরে তারা পরিবারকে না জানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। টম আমেরিকার একজন সফল বিজনেসম্যান এবং বিদেশে বেশ কয়েকটি ইন্ডাস্ট্রি ও ক্লাব গড়ে তুলেছেন। তবে মিষ্টিকে বিয়ে করার আগে টম প্রথম বার বিয়ে করেন ২০০১ সালে। 


সে সময় এক অ্যামেরিকান নারীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেই স্ত্রী প্রায় ১০ বছর ধরে অসু"স্থ থাকার পর ২০১১ সালে মা"রা যান।  


প্রথম বিয়ের পর প্রায় ২০ বছর সন্তানদের কথা চিন্তা করে বিয়ে করেননি টম। এমনকি স্ত্রীর শো"ক ও সন্তানের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সিঙ্গেল ফাদার হিসেবেই কাটতে থাকে তার দিন। 


তারপর হঠাৎ বাংলাদেশে ঘুরতে এসে জীবন পাল্টে যায় তার। কয়েকজন বন্ধুর আমন্ত্রণে ২০ বছর পর দেশে ঘুরতে আসেন তিনি। 


বিয়ের পর দুজনেই পাড়ি জমান মার্কিন মুলুকে। সেখানেই সুখে কাটছে তাদের দিন।সত্যি ভালোবাসা মানে না কোনো বয়স, কোনো সময়, কোনো বেড়াজাল। এর বাস্তব উদাহরণ টম ও মিষ্টি ইমাম দম্পতি।

গল্পের নাম পরকিয়া

 পরকিয়া

ছবির বাচ্চাটার বয়স ৫ কি ৬ বছর..

স্কুল..মোবাইল গেমস আর খেলাধুলার বয়সে বাচ্চাটা এসেছে মায়ের প-র-কী-য়ার হাড্ডি হয়ে..



ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল চত্ত্বর..দেড় ঘন্টা এদের পাশেই বসে ছিলাম..দুজনের প্রেমালাপ..আদুরে হাতাহাতি..কথোপকথন কানে এসেছে বারবার..


বাচ্চাটা নিজের আনন্দে খেলছে..দূরে গেছে অথচ খেয়াল নেই মা এর..বাচ্চাটা বারবার মাম্মা মাম্মা বলছে..মা উত্তরহীন..লোকটাকে আংকেল ডেকেছে কয়েকবার..


পয়েন্টে আসি..কিভাবে সিউর হলাম..


মহিলার ফোনে একটা ভিডিও কল আসে..লোকটাকে চুপ করিয়ে তিনি রিসিভ করেন দূরে গিয়ে..কথা বলতে বলতে আমার কাছাকাছি আসেন..মহিলা বলেন..নিউমার্কেটে কেনাকাটা কর‍তে এসেছেন..


এরপর বাচ্চাকে দেখান..বাচ্চা মোবাইল নিয়ে ভিডিও কলে কথা শুরু করে..বাচ্চা মানুষ..হঠাৎ মোবাইল ঘুরিয়ে মা আর আংকেলকে দেখায়..এতেই ক্ষেপে যায় মাম্মা..কলটা কেটে বাচ্চাকে দেয় কষে থা/প্পড়..কেন আংকেলকে দেখাইলি..এটা-সেটা..


আশপাশের সবাই হতবিহ্বল হয়ে যায়..কিন্তু তাদের কিচ্ছু যায় আসলো না..আবার আদুরে হাতাহাতি শুরু করে দু'জন..বাচ্চা আশপাশেই খেলতে থাকে..এই বাচ্চার ভবিষ্যৎ কি 🙂


- কালেক্টেড

বিরহিণী

 বিরহীনি


ব্যাংকে বসে আছি। এক মেয়ে এসেছে প্রবাস থেকে পাঠানো টাকা তুলতে। ফরম ফিল-আপ করতে পারছে না তাই আমার কাছে নিয়ে আসছে। সে নাকি আগের দিনও এসেছিল। ম্যানেজার নাকি বলেছিল পিন-নাম্বার ভুল, তাই ফিরে গেছে। আমি জিগ্যেস করলাম যিনি টাকা পাঠাইছে তাকে কল দিয়ে কনফার্ম হয়েছেন? পিন-নাম্বার ঠিক আছে? সে বললো- "কল দিছি, নাম্বার ঠিকই আছে"।


তাহলে টেনশন নিয়েন না, আমি ফরম ফিল-আপ করে দিচ্ছি। লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলে নিয়ে যান। 



কিছুক্ষণ পর মেয়েটি এসে বলতাছে- ভাইয়া আজকেও নাকি নাম্বার ভুল হইছে। আমি মিলিয়ে দেখলাম, না-কোনো ভুল নেই। তখন জিগ্যেস করলাম আপনাকে কি এই ব্যাংকের কথা বলছে? আর কবে টাকা পাঠাইছে? সে বললো- না, এই ব্যাংকের কথাই বলছে আর টাকা পাঠাইছে গত পরশু। 


তাহলে তো টাকা চলে আসার কথা। এক কাজ করুন, যিনি টাকা পাঠাইছে তাকে একটা কল দেন, আমি কথা বলে দেখি।


কল রিসিভ করতেই আমি বললাম, ভাইয়া আপনি যে নাম্বারটা দিছেন সেটা তো ভুল বলতেছে। আপনি...


(আমাকে থামিয়ে দিয়ে ওপাশ থেকে বললো)

ভাই আপনি একটু তাইরে জিগান তো আমি তাইর কী লাগি? আমি কি তাইর বাপ লাগি, ভাই লাগি, নাকি হাই লাগি? দুই দিন কথা কওনের মাথায়ই আমার কাছে বিশ হাজার ট্যাহা চাইলো ক্যারে?


মেয়েটা কৌতূহলী চোখ নিয়ে বারবার জিজ্ঞেস করছে, ভাইয়া কী হইছে? আর আমি স্তব্ধ হয়ে মেয়েটার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি, তাকে এখন আমি কী জবাব দিব?